এবিএনএ : গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) কৌশলের অংশ হিসেবে জ্যেষ্ঠ সাংবাদিক ও উপস্থাপক শফিক রেহমানকে গ্রেফতারের সময় গণমাধ্যমের পরিচয় দেয়া হয়েছে বলে স্বীকার করেছেন বাংলাদেশ পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি) এ কে এম শহীদুল হক।
সোমবার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মোজাফফর আহমেদ চৌধুরী মিলনায়তনে ক্রিমিনোলজি বিভাগ কর্তৃক আয়োজিত বর্ষবরণ ১৪২৩ ও পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠান শেষে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে এ কথা বলেন তিনি।
শফিক রেহমানকে গ্রেফতারের সময় ডিবি পুলিশ সাংবাদিক পরিচয়ে প্রবেশ করেছিল এমন অভিযোগ উঠেছে। ডিবি পুলিশের এমন অভিনব পরিচয়ে বিরুপ প্রতিক্রিয়া তৈরি হয়েছে। এ বিষয়ে এক সাংবাদিক আইজিপির কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘ডিবি পুলিশ গোয়েন্দা কৌশলের অংশ হিসেবে স্থানভেদে হকার, ফকিরসহ নানা ছদ্মবেশ ধারণ করেন। শফিক রেহমানকে গ্রেফতারের ক্ষেত্রে এমন কৌশলই নিয়েছিল ডিবি পুলিশ।’
সুস্পষ্ট অভিযোগের প্রেক্ষিতে শফিক রেহমানকে গ্রেফতার করা হয়েছে বলে দাবি করেন আইজিপি।
উল্লেখ্য, গত ১৬ এপ্রিল বেসরকারি টেলিভিশন বৈশাখী টিভির পরিচয়ে ডিবি পুলিশ শফিক রেহমানকে গ্রেফতার করে। সেসময় তাৎক্ষনিকভাবে জানতে চাইলে ডিএমপির মিডিয়া এন্ড পাবলিক রিলেশন্স বিভাগের উপ-কমিশনার (ডিসি) মারুফ হোসেন সরদার বলেন, ডিবি পুলিশ গণমাধ্যমের পরিচয় দেয় নি। ডিবি পুলিশ সুস্পষ্ট অভিযোগের ভিত্তিতে শফিক রেহমানকে গ্রেফতার করেছে।
এর আগে তিনি ক্রিমিনোলজি বিভাগ কর্তৃক আয়োজিত বর্ষবরণ ১৪২৩ ও পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে বলেন, সাংবাদিক (শফিক রেহমান) গ্রেফতারে মিডিয়ায় কথা বলাই উচিত নয়। বিষয়টি নিয়ে মামলা হয়েছে। মামলায় তিনি গ্রেফতার হয়েছেন। বিষয়টি এখন তদন্তাধীন। অথচ সাংবাদিকতার নৈতিকতা ভুলে তদন্তাধীন বিষয় নিয়ে টকশোতে ঝড় উঠছে। সব কিছু তারাই বলে দিচ্ছেন। গণমাধ্যমের নিয়ন্ত্রণ থাকা উচিত বলেও মন্তব্য করেন তিনি।
এর আগে প্রধান অতিথির বক্তব্যে আইজিপি বলেন, গণমাধ্যমে যা ইচ্ছে তাই লেখা হচ্ছে। কোনো নিয়ন্ত্রণ নেই। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমেও লেখা হচ্ছে। ওয়েবসাইট বানিয়ে খেয়ালখুশি মতো লিখছেন সাংবাদিকরা। এসবের নিয়ন্ত্রণ দরকার।